রাইবোজোম জীব কোষে অবস্থিত রাইবোনিউক্লিওপ্রোটিন দ্বারা গঠিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা। রাইবোজোম প্রধানত প্রোটিন সংশ্লেষণে সাহায্য করে। প্রোটিনের পলিপটাইড চেইন সংযোজন এই রাইবোজোমে হয়ে থাকে। এছাড়া রাইবোজোম এ কাজে প্রয়োজনীয় উৎসেচক সরবরাহ করে। এই উৎসেচক বা এনজাইমের কাজ হলো প্রাণরাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে দেওয়া। জীবকোষের সাইটোপ্লাজমে মুক্ত অবস্থায় বিরাজ অথবা আন্তঃপ্লাজমীয় জালিকার (এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম) গায়ে অবস্থিত যে দানাদার কনায় প্রোটিন সংশ্লেষণ ঘটে তাই রাইবোসোম। রাইবোসোম দেখতে গোলাকার বা ডিম্বাকারহয়ে থাকে। রাইবোসোম মুলত 70S ও 80S এই দুই প্রকার হয়ে থাকে।
অবস্থান ও আবিস্কারঃ
অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের গায়ে, নিউক্লিয়ার মেমব্রেনের গায়ে, মাইটোকন্ড্রিয়ার অভ্যন্তরে অবস্থান করে। ১৯৫৫ সালে বিজ্ঞানী প্যালাডে রাইবোসোম আবিস্কার করেন। ১৯৫৮ সালে বিজ্ঞানী রবার্টস এর নাম দেন রাইবোসোম।
গঠনঃ
- রাইবোজোম সাধারণত গোলাকার এবং দ্বিস্তর বিশিষ্ট ঝিল্লি দিয়ে আবৃত।
- এদের ব্যাস সাধারণত 100-400Å;এদের দৈর্ঘ্য প্রোক্যারিওটিক কোষে 100-280Å,ইউক্যারিওটিক কোষে 300-400Å এবং প্রস্থ 200-240Å।
- এরা দ্বি স্তরী ঝিল্লী দ্বারা আবৃত।
- এদের ব্যাস ৯০-১৬০’ অ্যাংস্ট্রম।
- এরা হিস্টোন জাতীয় প্রোটিন এবং রাইবোনিউক্লিয়িক এসিড দ্বারা তৈরী।
- প্রতিটি রাইবোসোম অসম দুইটি উপএকক দিয়ে গঠিত।
- 70S রাইবোসোমে 50S ও 30S এই দুইটি উপএকক থাকে। কিন্তু 80S রাইবোসোমে 60S ও 40S এই দুইটি উপএকক থাকে।
- 70S রাইবোসোম থাকে আদিকোষে আর 80S রাইবোসোম থাকে প্রকৃতকোষে।
কাজঃ
i) রাইবোসোমের প্রধান কাজ হল প্রোটিন সংশ্লেষ করা।
ii) স্নেহজাতীয় পদার্থের বিপাক সাধন করা।
i) রাইবোসোমের প্রধান কাজ হল প্রোটিন সংশ্লেষ করা।
ii) স্নেহজাতীয় পদার্থের বিপাক সাধন করা।
বিঃদ্রঃ S= Svedberg unit.বিজ্ঞানী Svedberg এর প্রথম অক্ষর S দিয়ে রাইবোসোম এর একক প্রকাশ করা হয়।
Source and Credit : Wikipedia
Leave a Comment